স্বস্তিক বহু কাল থেকেই আমাদের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং এটি একটি প্রতীক হিসাবেও বিবেচিত হয়। কোনও শুভ কাজ সম্পাদনের আগে একটি স্বস্তিক প্রতীক অবশ্যই তৈরি করা হয় এবং এটি পূজাও করা হয়। এর আক্ষরিক অর্থ সম্পর্কে কথা বললে এটি সু + আস + কে অর্থাৎ 'সু'-ভাল,' 'আস' হল কর্তৃত্ব বা অস্তিত্ব এবং ' কে '- কর্তা। এক্ষেত্রে স্বস্তিকা মানে মঙ্গল বা মঙ্গল। এই চিহ্নটি গণেশের প্রতীক হিসাবেও বিবেচিত হয়েছে। এর উৎসটি আর্যদের দ্বারা বিশ্বাস করা হয়। কেবল ধর্মীয়ই নয়, এর গুরুত্ব বাস্তুতেও রয়েছে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক বাড়ির কোন জায়গাগুলিতে স্বস্তিকের চিহ্ন তৈরি করা মঙ্গলজনক বলে মনে করা হয়? আসুন ঘরে বসে স্বস্তিক বানানোর কী কী উপকারিতা তা জেনে নেওয়া যাক।
১. বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে যদি বাড়ির প্রধান দরজার উভয় দেয়ালে স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করা হয় তবে তা ঘরে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে। বাড়ির যে কোনও ধরণের বাস্তু দোষের ভুল প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং সুখ- সমৃদ্ধি আসে।
২. বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির উঠোনের মাঝখানে যদি স্বস্তিক তৈরি করা হয় তবে তা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। পিতৃপক্ষের সময় যদি স্বস্তিক ঘরের আঙ্গিনায় গোবর দিয়ে তৈরি করা হয় তবে তা পিতৃপুরুষের অনুগ্রহ পায়। এছাড়াও, বাড়িতে সুখ এবং সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
৩. আপনার বাড়ির মন্দিরে স্বস্তিক প্রতীক তৈরি করলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই চিহ্নে দেবতাদের মূর্তি স্থাপন করে পূজা করলে ঈশ্বরের কৃপা দৃষ্টি আপনার উপর সর্বদা থাকবে।
৪. যদি স্বস্তিকের প্রতীকটি বাড়ির খণ্ডে তৈরি হয় তবে ব্যক্তির জীবনে সমৃদ্ধি দেখা যায়। এটি মা লক্ষ্মীকে আনন্দিত করে। ঘরে টাকার অভাব থাকে না।
No comments:
Post a Comment