ধান খনিজ সমৃদ্ধ এবং উচ্চ পুষ্টিকর। চালে কিছু সূর্য রক্ষাকারী উপাদান আছে যেমন ফেরুলিক অ্যাসিড এবং অ্যালানটোইন, যা এটিকে একটি ভাল প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনে রূপান্তরিত করে। একটি ভাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হওয়ায়, চালের গুঁড়া ছাড়াও ত্বক সান ট্যান থেকে প্রতিরোধ করে।
কিভাবে ব্যবহার করতে হয়:
একটি পুরু পেস্ট গঠন করতে ঠান্ডা দুধের সাথে কিছু চালের গুঁড়া মিশিয়ে আপনার মুখে প্রয়োগ করুন। ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা সপ্তাহে অন্তত একবার ধারাবাহিকভাবে ব্যাবহার করুন। আপনি দেখবেন মাস দুয়েক পর আপনার ত্বক হালকা হয়ে যাচ্ছে। একই ফলাফলের জন্য আপনি চাল ভেজা জল দিয়ে আপনার মুখ ধুতে পারেন।
২) ডার্ক সার্কেল :
চালের গুঁড়া সবচেয়ে ভাল উপায় এবং চেহারার চোখের দাগ মোকাবেলা করার একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। ক্লান্ত চেহারা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং ক্লান্ত চোখের উপর একটি শীতল প্রভাবের জন্য ব্যাবহার করতে পারেন।
কিভাবে ব্যবহার করতে হয়:
কলা, ক্যাস্টর অয়েল এবং চালের গুঁড়ো ব্যবহার করে একটি পুরু পেস্ট প্রস্তুত করুন এবং এটি একটি চোখের মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করুন অথবা আক্রান্ত এলাকার উপর প্রয়োগ করুন। প্যাক মধ্যে উপলব্ধ উপাদান চোখের চারপাশে সূক্ষ্ম ত্বক হালকা করার জন্য ভালো।
৩) স্কিন হোয়াইটিং/হালকা করা :
পুষ্টি এবং খনিজ সমৃদ্ধ চাল একটি ঐতিহ্যবাহী ত্বক প্রতিকার হিসাবে পরিচিত হয়েছে। শস্য মধ্যে উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিন একটি ক্লিয়ারিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণ করে।
কিভাবে ব্যবহার করতে হয়:
একটি দৃঢ় ফেস প্যাক তৈরি করতে মধু এবং দই এর সঙ্গে চালের গুঁড়া মেশান। আপনার মুখ এবং ঘাড় এর এলাকা জুড়ে প্রয়োগ করুন এবং পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। পরে, এটি জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনার ত্বক নরম এবং চকচকে করবে।
৪) ভাঁজ, পিম্পল এবং বয়সের দাগ :
চালের গুঁড়া দাগ, সূক্ষ্ম রেখা এবং পিম্পল অপসারনের জন্য কার্যকরী। এটা আপনাকে তরুণ দেখাতে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং দৃঢ়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কিভাবে ব্যবহার করতে হয়:
একটি পেস্ট গঠন করতে কিছু শসার রস এবং লেবুর রস সঙ্গে এক চা চামচ চালের ময়দা মেশান। এই চালের ময়দার প্যাক আপনার মুখে প্রয়োগ করুন এবং শুকিয়ে যাওয়ার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি রোধ থেকে আসার সাথে সাথে এটি ট্রাই করা যেতে পারে যাতে এটি একটি এন্টি-ট্যান প্যাক হিসেবে কাজ করে।
৫) মিসৃণ তৈরি করে আপনার চুল সোজা করুন :-
চালের ময়দা দানাদার এবং স্টার্চি চুল টাইট এবং টোনিং ক্ষমতা আছে যা এটি চুল সোজা করে তোলে।
কিভাবে ব্যবহার করতে হয়:
চালের গুঁড়ো এবং ফুলারের মাটি (মুলতানি মাটি) সমান পরিমাণে নিন এবং একটি সূক্ষ্ম পেস্ট তৈরি করতে ভাল মিশ্রণ। এটা আপনার চুলে একটি প্যাক হিসাবে প্রয়োগ করুন। পেস্ট প্রায় ৩০ মিনিট ধরে লাগিয়ে রাখুন তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই বাড়িতে তৈরি হেয়ার প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার চুল সোজা হতে পারে।
No comments:
Post a Comment