ট্যানয়ের সমস্যা ত্বকে সাধারণ তবে এটির অনেক বড় অসুবিধাও হতে পারে। যদিও ভিটামিন ডি সূর্যের থেকে অনেক বেশি পাওয়া যায় তবে সব কিছুর অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতি হতে পারে। এ কারণে রোদে পোড়া ছাড়াও ত্বকের ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ট্যানিংয়ের কারণে বয়সের চেয়ে বেশি বয়স্ক দেখাও সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ট্যানিংয়ের সমস্যাগুলি সমস্ত ত্বকের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে তবে সংবেদনশীল ত্বকের সাথে তাদের আরও যত্নবান হওয়া দরকার।
যদিও সানস্ক্রিম ত্বককে সুরক্ষা দেয়, তবে এটি সারাক্ষণ ট্যানিং থামাতে সক্ষম হয় না। এ কারণে আপনি ত্বকের উজ্জ্বলতা হারাতে শুরু করেন, তাই ত্বকের গুরুত্বপূর্ণ যত্নকে উপেক্ষা করবেন না। ট্যানিং একটি বড় সমস্যা হতে পারে তবে ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্যে এটি অনেকাংশে কাটিয়ে উঠতে পারে। প্রাকৃতিক জিনিসগুলির সাহায্যে ত্বকের আরও ভাল যত্ন নেওয়া যেতে পারে।
ট্যান সরানোর জন্য এই প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ করুন
১. টমেটো
এটি ত্বককে ডি-ট্যান করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুব উপকারী। ভিটামিন সি এর সাহায্যে ত্বক রোদে পোড়া ও দূষণ থেকে রক্ষা পেতে পারে। এটি ত্বকে নতুন কোষ তৈরি করতেও সহায়তা করে।
এটি কীভাবে ব্যবহার করবেন: টমেটো ম্যাশ করুন এবং এই পেস্টটি মুখে লাগান। ১৫ মিনিটের জন্য এটি রাখুন এবং তারপরে এটি জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু'বার এই পদ্ধতিটি পুনরাবৃত্তি করুন। এটি ত্বক থেকে ট্যানিং অপসারণ করবে এবং ত্বক আরও উজ্জ্বল এবং আলোকিত করবে।
২. বেসন
বেসন ত্বকের জন্য খুব উপকারী বলে বিবেচিত হয়। এটি ত্বক থেকে ট্যান সরিয়ে ফেলার পাশাপাশি অনেকগুলি সুবিধা দেয়। এটিতে অ্যান্টি-এজিং প্রপার্টি রয়েছে। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষগুলিও দূর করে।
এটি কীভাবে ব্যবহার করবেন: অল্প বেসনের মধ্যে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। একটি পাত্র নিন এবং এতে তিন চা-চামচ ছোলার আটা, এক চা চামচ জলপাই তেল এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এতে এক চিমটি হলুদও যুক্ত করুন। এগুলো সব ভাল করে মিশিয়ে মুখে লাগান। এটি ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তারপর এটি হালকা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দু'বার করুন
৩. দই এবং মধু
দইতে উপস্থিত অ্যাসিডগুলি ত্বকে বিভিন্নভাবে উপকার করে। একইভাবে মধুতে অনেক অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল গুণ রয়েছে। এগুলি ক্ষতিগ্রস্থ ত্বক মেরামত করতে সহায়তা করে।
এটি কীভাবে ব্যবহার করবেন: এক চামচ মধুতে দুই চামচ দই মিশিয়ে নিন। এগুলি ভালভাবে মিশিয়ে মুখে লাগান এবং ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এবার গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আরও ভাল ফলাফলের জন্য এটি প্রতিদিন ব্যবহার করুন।
৪. অ্যালোভেরা
একে ঔষধি গাছও বলা হয় কারণ এটি ত্বকের পাশাপাশি শরীরকে বিভিন্নভাবে উপকৃত করে। এটি ত্বকে ট্যানিং অপসারণ করতে সক্ষম।
এটি কীভাবে ব্যবহার করবেন: ঘুমানোর আগে ত্বকে অ্যালোভেরা লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ভিতরের জেলটি মুখে লাগান এবং পরের দিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। আরও ভাল ফলাফলের জন্য এটি প্রতিদিন ব্যবহার করুন।
৫. শসা এবং দুধ
শসা ত্বক থেকে ট্যান অপসারণে খুব সহায়ক। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে। একই সাথে, দুধ সান ক্রিম হিসাবে কাজ করে এবং ত্বক ময়শ্চারাইজ করে। এটি ত্বককে আলোকিত করে তোলে এবং সূর্যের আলোর ক্ষতি রোধ করে। এই দুটি একত্রিত করার মাধ্যমে, আপনি সহজেই ট্যান সরাতে সক্ষম হবেন।
এটি কীভাবে ব্যবহার করবেন: শশা ভাল করে ব্লেন্ড করে এর রস দুধে মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি মুখে এবং হাতে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য এটি রেখে ধুয়ে ফেলুন। দিনে দু'বার এটি করুন এবং শীঘ্রই আরও ভাল ফলাফল পান।
রোধে বেরোনোর আধ ঘন্টা আগে সানস্ক্রিন লাগান। এছাড়াও সানগ্লাস পরেন। এছাড়াও, যখনই আপনি বাইরে থেকে আসবেন, মুখটি ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন, এটি ত্বকের সাথে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করবে। এছাড়াও, এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ব্যবহার করে দেখুন।
No comments:
Post a Comment