বাচ্চাদের কিছু অভ্যাস মানসিক ব্যাধি বাড়ানোর জন্যও দায়ী, তাই আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু অভ্যাস সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।
১.অধিক চাপ বা উদ্বেগ পাওয়া
কেবল বড় নয়, আজকাল শিশুরাও মানসিক চাপ বা উদ্বেগের শিকার হয়ে উঠছে। যাইহোক, প্রচুর স্ট্রেস প্রতিটি ব্যক্তির জীবনের একটি সাধারণ অংশ, তবে খুব বেশি এবং অনিয়ন্ত্রিত চাপ আপনার সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। আপনি যখন স্ট্রেস পান তখন আপনার মস্তিষ্ক করটিসোল নামক হরমোন নিঃসরণ করে। যার কারণে আপনার ভাল কাজ করতে সমস্যা হয়। অতএব, আপনার শিশুকে স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখার চেষ্টা করুন
২.বেশি রাগ করা
প্রতিটি মানুষের ক্রোধ আলাদা, কিছু লোক বা শিশুদের মেজাজ খুব রাগান্বিত হয়। গবেষণা দেখায় যে অনিয়ন্ত্রিত এবং অতিরিক্ত রাগ আপনাকে মানসিকভাবে চরমভাবে প্রভাবিত করে, যা আপনার চিন্তায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যদিও রাগ একটি স্বাভাবিক আবেগ, ক্রোধ একটি উপকার যা নিয়ন্ত্রণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৩.সর্বদা নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করা,
প্রতিটি ব্যক্তির চিন্তাভাবনা তাদের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এই জাতীয় অনেক শিশু সর্বদা নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করে। যদিও এটি তাদের খুব খারাপ অভ্যাস। যার কারণে, নেতিবাচক চিন্তা তাদের মনে একটি বাসা তৈরি করে, যার কারণে তারা ইতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে মাইল দূরে যেতে শুরু করে।
৪.ব্যায়াম করবেন
আপনি যদি ব্যায়াম না করেন বা কোনও শারীরিক ক্রিয়াকলাপ না করেন তবে আপনি মানসিকভাবে স্ট্রেস অনুভব করেন। তাই এটি আপনার বাচ্চাদের প্রতিদিন অনুশীলন করার অভ্যাস করা প্রয়োজন। এটি আপনার সন্তানের মেজাজও আরও ভাল রাখে। যদি শিশুরা প্রতিদিন নিয়মিত অনুশীলন করে তবে এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ভাল প্রভাব ফেলে।
৫.পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুম আপনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। আপনি যখন প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম ঘুমান , তবে তার পরের দিন সকালে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য এবং সক্রিয় বোধ করেন। তবে আপনার শিশু যদি রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না পায় তবে এটি তার স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে, যা তাকে মানসিকভাবে অস্বাস্থ্যকর বোধ করে। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিৎ ।
No comments:
Post a Comment