তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে, অনেক সময় মানুষ খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ঘন ঘন হাঁচি হয়। যাইহোক, হাঁচি অ্যালার্জির বিরুদ্ধে সুরক্ষার একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যার কারণে শরীরে উপস্থিত অ্যালার্জেনগুলি বেরিয়ে আসে। কিন্তু প্রতিদিন সকালে ৪.৫ বারের বেশি হাঁচি স্বাভাবিক নয়। এর পাশাপাশি নাক দিয়ে জল পড়া, চোখে জ্বালাপোড়া ও নাক বন্ধ হওয়ার মতো সমস্যাও রয়েছে। জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়...
৪.৫ বারের বেশি হাঁচি স্বাভাবিক নয়। এগুলি অ্যালার্জির লক্ষণ হতে পারে।
এছাড়াও দরকারী:
গোল মরিচ:
একটি গোল মরিচ পাতায় ৫.৮ গোল মরিচ এবং এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো মুড়ে এটি সামান্য গরম করুন। ব্রাশ করার পরপরই চিবিয়ে নিন। বাচ্চাদের এটি দেবেন না কারণ এটি মুখ এবং বুকে জ্বালা হতে পারে।
রসুন:
ঝোল পাতা এবং রসুন মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি একটি কাপড় বা রুমালে লাগিয়ে গন্ধ নিন। ঝোলের জায়গায় তুলসী পাতাও উপকারী।
মেথি বীজ:
এক কাপ পানিতে ২.৩ চামচ মেথির বীজ সিদ্ধ করুন। জল অর্ধেক হয়ে গেলে হালকা গরম চুমুক দিয়ে পান করুন, উপকার হবে।
পান:
২.৩ পান পিষে রস বের করে আধা চামচ মধু দিয়ে খেলে কাশি, অ্যালার্জি ও সর্দি সারাবে না।
সাইট্রাস ফল:
ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল যেমন কমলা, লেবু, জাম্বুরা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। তারা ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করে যা সর্দি এবং অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। প্রতিদিন এই ফলগুলোর একটি খান।
মৌরি (মৌরি): অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মৌরি ভেষজ চায়ের আকারে নেওয়া যেতে পারে। এতে অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ে।
হলুদ:
আয়ুর্বেদে হলুদের ধোঁয়ার গন্ধ নেওয়ার প্রক্রিয়াকে ভেষজ ধূমপান বলা হয়। এর জন্য একটি গরম প্যানে ১-২ চামচ হলুদ মাখিয়ে তা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। প্যানে এক চামচ ঘি গরম করে হলুদের গুঁড়াও দিতে পারেন।
No comments:
Post a Comment