কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন বিধায়ক কে এন রাজন্নার 'ষড়যন্ত্র'র কারণে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে গৌড়া কংগ্রেস-জেডিএস জোটের প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও তুমাকুরু আসনটি হারিয়েছিলেন। এতে ভোক্কালিগাস এবং দলিতরা এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আপাতদৃষ্টিতে অস্ত্র হাতে উঠে এসেছে। এটা থেকে স্পষ্ট যে জেডিএস প্রাক্তন কেএএস অফিসার অনিল কুমার একই সম্প্রদায়ের রাজন্নার ছেলে আর. রাজেন্দ্রের বিরুদ্ধেও প্রার্থী করেছিলেন।
ইতিমধ্যে বিজেপি একটি কুঞ্চটিগা ভোক্কালিগা এন লোকেশ ওরফে লোকেশ গৌড়াকে প্রার্থী করেছে, যিনি বেঙ্গালুরু গ্রামীণ জেলার দোদ্দাবাল্লাপুর তালুকের সাক্কারে গোল্লাহাল্লির বাসিন্দা। ভোটের মাঠে তিনিই একমাত্র ভক্কালিগা প্রার্থী।
তুরুভেকেরের প্রাক্তন বিধায়ক এম টি কৃষ্ণাপ্পার সমর্থক নরসে গৌড়া মন্তব্য করেন “আমরা বর্ণের মধ্যে উপ-সম্প্রদায় দ্বারা বিভক্ত হতে যাচ্ছি না এবং তাই লোকেশ গৌড়াকে সমর্থন করব। যাইহোক আমাদের রাজন্নার ছেলেকে পরাজিত করতে হবে এবং আমাদের পছন্দ হবে এইবার বিজেপি।"
গতবার যখন বর্তমান এমএলসি বিইএমএল কাঁথারাজু একজন ভোক্কালিগা প্রার্থী ছিলেন, তখন জেডিএস একটি যুক্তফ্রন্ট ছিল। এবার অবশ্য কাঁথারাজু এবং গুব্বি বিধায়ক এস আর শ্রীনিবাস কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করছেন। সুতরাং জেডিএসের কিছু নেতা বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন করছেন কারণ তিনিও একজন ভোক্কালিগা।
ইতিমধ্যে দলিতরাও রাজন্নার ডেপুটি সিএম থাকাকালীন শূন্য ট্র্যাফিক সুবিধা ভোগ করার অভিযোগে ডাঃ জি পরমেশ্বরার বিরুদ্ধে বদনাম করার বিষয়টি উত্থাপন করেছে। বিরোধী নেতা সিদ্দারামাইয়ার অধীনে অহিন্দা ভোটাররা যদি ঐক্যফ্রন্ট তৈরি করে তবেই কংগ্রেস লড়াই করতে পারে। অন্যথায় দুই এসটি নায়ক প্রার্থীর মধ্যে বিভাজন বিজেপিকে একটি প্রান্ত দিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
No comments:
Post a Comment