শীতকাল মানেই বাড়িতে পুরভরা পরোটা, কচুরি, পিঠে, নতুন গুড়ের পায়েস, সবজির হালুয়া রান্না হবে – এর প্রতিটিই খাওয়া চলতে পারে। তবে হ্যাঁ, পরিমাণটা বেঁধে রাখুন, আর একইদিনে সব খাবেন না, রোজ অল্প পরিমাণে খাওয়া বরং তার চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর। শীতের খাদ্যতালিকায় যে যে উপাদানগুলি অবশ্যই থাকা প্রয়োজন, সেগুলির হদিশ নিচে দেওয়া রইল।
দুধ: বিদেশিরা শীতের দিনে হট চকোলেট পছন্দ করেন। আপনিও তা খেতে পারেন, তবে তার চেয়েও বেশি কার্যকর নতুন ওঠা কাঁচা হলুদ আর দুধের মিশ্রণ। সামান্য গুড় বা চিনি দিয়ে এই পানীয়টি পান করুন। উষ্ণতার সঙ্গে সঙ্গে শরীর পাবে অ্যান্টিঅক্সিডান্ট। কমবে ইনফ্লামেশন, ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই চালানোও সহজ হয়ে আসবে। আর দুধের তৈরি নানা ধরনের পায়েস তো অবশ্যই খাবেন।
মাটির নিচের সবজি: গাজর, বিট, মুলো, শালগম,আদা, রসুন, আলু – সবেরই ফলন হয় শীতের দিনে। প্রতিটি সবজিই আপনাকে ভিতর থেকে উষ্ণ ও সুস্থ রাখতে কার্যকর। গাজরে পাবেন ভিটামিন এ, সি বিটা-ক্যারোটিন। সব সবজি মিশিয়ে দুর্দান্ত স্যুপ তৈরি করেও খেতে পারেন স্বচ্ছন্দে। গাজর আর বিট দিয়ে চমৎকার হালুয়া তৈরি করা যায়, আলু আর মুলো ব্যবহার করুন পরোটার স্টাফিং হিসেবে।
বাদাম: বাদাম আপনার শরীরকে উষ্ণ রাখে। এর প্রোটিন ও ফ্যাট পেট ভরিয়ে রাখে বহুক্ষণ। বাদামের হালুয়া খাওয়ার এটাই সেরা সময় কিন্তু!
নারকেল: নারকেলও ভালো মানের ফ্যাটের জোগানদার। ভালো ফ্যাট উষ্ণতা বজায় রাখে। গুড় আর নারকেলের কম্বিনেশন তো অতি উপাদেয় ও পুষ্টিকর।
ফল: এ সময় পাকা স্ট্রবেরি, কমলালেবু, কিউয়ি, আপেল, প্লাম মিলবে বাজারে। প্রতিটিই রাখুন খাদ্যতালিকায়। প্রয়োজনীয় রাফেজের জোগান দিয়ে তা পেট ভরিয়ে রাখবে, সেই সঙ্গে ফলের আর্দ্রতা ত্বক ভালো রাখবে।
ঘি: শীতের দিনে ঘি না খেলে আর কবে খাবেন? ঘি আপনার ত্বককে বেশিদিন তারুণ্যে ভরপুর রাখে।
শাক: পালং, মেথি, সরষে, বাথুয়া শাক তো বটেই, ধনেপাতাও যেন আপনার শীতের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই থাকে। পালং পনির বলুন বা সরষের শাক, কোনও রান্নাটিই ব্রাত্য মনে করবেন না – সব কিছুই উপভোগ করুন।
No comments:
Post a Comment