যদি আপনার ওজন লাগাতার বাড়তে থাকে বা হাজার চেষ্টা করেও কিছুতেই কোমরের মাপ কমাতে না পারেন তা হলে বুঝতে হবে যে খাওয়াদাওয়ায় নিশ্চিতভাবে কোনও গন্ডগোল হচ্ছে। আমরা আসলে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি খেয়ে ফেলি। শরীর কিন্তু কিছু সিগন্যাল দিতেই থাকে – একটু লক্ষ করলেই তা বোঝা সম্ভব আর নিয়ন্ত্রণ আনা যায় খাওয়াদাওয়ায়।
প্রথম লক্ষণ হচ্ছে, খাওয়ার পর বা সময়েই আপনার কোমরে বাড়তি চাপ পড়বে। মনে হবে বেল্টটা একটু আলগা করে দিতে পারলে ভালো হত। লাঞ্চ বা ডিনারের পর নিয়মিত এমনটা মনে হতে আরম্ভ করলেই সাবধান। আপনি নিশ্চিতভাবেই বেশি খাচ্ছেন!
দ্বিতীয়ত, খাবার খাওয়ার শেষদিকে এসে যদি মনে হয় যে স্বাদটা হঠাৎই ভালো লাগছে না, তা হলে কিন্তু বুঝতে হবে যে ব্রেন আপনাকে এবার থামার সঙ্কেত দিচ্ছে। খাবারের স্বাদ মাঝপথে বদলাতে পারে না। আর সব সময় মনে রাখতে হবে যে শরীর আপনাকে তার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে কিন্তু সতর্ক করতেই থাকবে। সেটা মেনে চলার দায় আপনার।
তৃতীয়ত, প্লেটে পড়ে থাকা খাবারটা শেষ করতে সত্যিই সমস্যা হবে। যদি রোজই একটা সময়ের পর খাবার গলাধঃকরণ করা শাস্তি বলে মনে হয় তা হলে পরদিন থেকে ওই পরিমাণ খাবার খাদ্যতালিকার বাইরে রাখুন।
এবার প্রশ্ন, কোনওদিন যদি বেশি খেয়ে ফেলেন, তা হলে কী করবেন? তৎক্ষণাৎ ভারী কোনও ব্যায়াম করার চেষ্টা মোটেই করবেন না। খাওয়ার পর খানিক হাঁটতে পারেন। এক ঘণ্টা পর থেকে অল্প অল্প করে গরম জল খেতে পারেন। পরের মিলটা খিদে না পাওয়া পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়াটাও খুব ভালো সিদ্ধান্ত। তবে প্রতি সপ্তাহে অল্প অল্প করে খাওয়ার পরিমাণ কমাতে থাকলে মাস দুয়েকের ভিতর ফারাকটা স্পষ্ট বুঝতে পারবেন।
মনে রাখবেন, লাগাতার বেশি খাওয়ার ফলে আপনার পেট ক্রমশ বড়ো হতে থাকে। সেই ভুঁড়ি কমানো কিন্তু সত্যিই দুষ্কর। তা ছাড়া গা বমিভাব, পেট ফাঁপা, বদহজমের মতো সমস্যা হবে। কাজে-কর্মে উৎসাহ হারাবেন, ঘুমও পাবে বারবার। তাই সময় থাকতে সাবধান হোন। পছন্দের খাবারও কম করে খান। বেশি বেশি করে তাজা ফল ও শাকসবজি খেলেও শরীর ভালো থাকে বেশিদিন। খিদে পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে তবেই খেতে বসুন। মন খারাপ করলেই মিষ্টিজাতীয় কিছু খেয়ে ফেলবেন না!
No comments:
Post a Comment