জেনে নিন কোন কোন ব্যায়াম এই পরিস্থিতিতে আপনার সহায় হয়ে উঠতে পারে। তবে সেই সঙ্গে ডায়েটের উপরেও বিশেষ নজর রাখতে হবে, কেবল ব্যায়ামের মাধ্যমে এই ফ্যাটের হাত থেকে মুক্তি পাবেন না। আপনার জীবনযাত্রা অনুযায়ী ঠিক কী ধরনের ডায়েট প্রয়োজন, তা জেনে নিন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম হলে কিন্তু লাভ হবে না! তার চেয়েও বড়ো কথা হচ্ছে, দু’টি মিলের মাঝে খুব বড়ো গ্যাপ দেওয়াটাও কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়।
ক্রাঞ্চেস: ক্রাঞ্চেস নানা রকমের হয়। পা ভাঁজ করে শুয়ে পড়ুন মাটিতে, আপনার যোগা ম্যাটের উপর। হাত মাথার পিছনে রাখুন। আপার বডি মাটি থেকে উঠবে এবং আবার পিছনে যাবে। এই মুদ্রাটি অভ্যেস হয়ে গেলে কিছুদিন পর এর সঙ্গে যোগ করে দিন টুইস্ট। উপরে ওঠার পর বাম হাতের কনুই দিয়ে ডান হাঁটু স্পর্শ করুন, ডান কনুই দিয়ে ছুঁতে হবে বাঁ দিকের হাঁটু। তার পর নিচে যান। আর একভাবেও ক্রাঞ্চ করতে পারেন – সোজা শুয়ে পড়ুন টানটান হয়ে। হাত রাখুন মাথার উপরে, তার পর সোজা বসে হাত দিয়ে পায়ের পাতা স্পর্শ করুন। প্রতি সেটে অন্ততপক্ষে ২০টি করে করতে হবে।
প্লাঙ্ক: প্লাঙ্ক বা ব্রিজ এক্সারসাইজ় আপনার কোর মাসল শক্তপোক্ত করে তোলে। কোরের শক্তি যত বাড়বে, তত কমবে পেটের ফ্যাট। উপরের ছবিতে প্লাঙ্কের একটি সহজ নমুনা রয়েছে, এইভাবে অন্তত মিনিটখানেক ধরে রাখতে পারলে বুঝবেন আপনার শক্তি বাড়ছে। তার পর প্লাঙ্কের আরও কঠিন ভ্যারিয়েশনগুলি ট্রাই করে দেখতে থাকুন একের পর এক। প্লাঙ্ক অবস্থায় থেকেই সিজ়ার, টুইস্ট, সাইড থ্রো করা যায়। করতে পারেন সাইড প্ল্যাঙ্কও। প্রতি সেটে ২০ টি করে তিন সেট করুন।
টুইস্ট: টুইস্টিং প্লেটে টুইস্ট ট্রাই করতে পারেন। সোজা দাঁড়ান, পা থাকবে কাঁধ বরাবর। হাত রাখুন মাথার পিছনে। হাঁটুর কাছ থেকে অল্প ভেঙে নিয়ে টুইস্ট করুন দু’ পাশে। সোজা হয়ে দাঁড়ান, পা থাকবে কাঁধ বরাবর। মাথার পিছনে হাত রাখুন, কনুই ছড়ানো থাকবে। ডান পা তুলুন বুকের কাছ পর্যন্ত, বাম কনুই দিয়ে তা স্পর্শ করুন। আবার বাঁ পা তুলে সেটা ছুঁতে হবে ডানদিকের কনুই দিয়ে। এইভাবে ৫০ কাউন্ট করুন।
No comments:
Post a Comment