স্ট্রেস দেওয়া এবং নেওয়া উভয়েই স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানীদের মতে, হালকা চাপ আপনার কাজের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। বিশেষ করে কলেজগামী শিক্ষার্থীরা কম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বোধ করে এবং সাধারণত মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে তাদের কর্মক্ষমতা উন্নত করলে তারা সুস্থ থাকে।
রচেস্টারের একটি কমিউনিটি কলেজের গবেষকরা কিশোর -কিশোরী এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক চাপকে বাধা হিসেবে না দেখে হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তোলার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। দলটি দেখেছে যে এই পদ্ধতিটি কেবল শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তার মাত্রা কমায়নি, বরং 'ভালো চাপ' শিক্ষার্থীদের মানসিকতা পুনরায় সেট করতেও সাহায্য করেছে। এই ছাত্ররা পরীক্ষায় উচ্চ নম্বর পেয়েছে। তারা ক্লাসে ভর্তি ছিল এবং স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে একাডেমিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল।
প্রশিক্ষিত কলেজ ছাত্র:
চাকরির ইন্টারভিউয়ের সময় হাতের তালুতে ঘাম, হঠাৎ ধড়ফড়, পরীক্ষার আগে পেট ব্যথা, আমাদের অধিকাংশই নতুন, অস্বাভাবিক বা চাপপূর্ণ পরিস্থিতিতে এই ধরনের চাপের প্রতিক্রিয়া অনুভব করে থাকি। কিন্তু রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন যে একজন ব্যক্তি কীভাবে মানসিক চাপে সাড়া দেয় এবং তা একজন ব্যক্তির মানসিক-শারীরিক স্বাস্থ্য এবং সাফল্যের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
স্ট্রেস সিদ্ধান্ত এবং আবেগকে প্রভাবিত করে:
মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং প্রধান গবেষক জেরেমি জেমিসন গবেষণা করেছেন কিভাবে চাপের অভিজ্ঞতা সিদ্ধান্ত, আবেগ এবং কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। ঐতিহ্যগতভাবে, চাপ স্বভাবতই খারাপ এবং সবসময় এড়িয়ে চলা উচিত।
যদিও আধুনিক জীবনে স্ট্রেস একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এটি কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রথমবারের মতো চাকরির ইন্টারভিউ দিলে, একজন শিক্ষার্থী তার হৃদস্পন্দন এবং ঘাম ঝরানো তালকে টেনশন হিসাবে দেখতে পারে। এটি একটি লক্ষণ হতে পারে যে তারা নার্ভাস, যখন প্রকৃতপক্ষে এই স্ট্রেস প্রতিক্রিয়া মস্তিষ্কে অক্সিজেন করতে সাহায্য করে এবং হরমোনগুলি মুক্তি দেয় যা শক্তি চালায়।
মানসিক চাপের সঠিক প্রতিক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ:
সারাজীবন, মানুষকে জটিল সামাজিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা শিখতে হবে এবং তারপরে সেই দক্ষতাগুলি নিজেদেরই প্রয়োগ করতে হবে। কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে প্রতিক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি মানুষ সহজেই চাপের মধ্যে কাজ সম্পন্ন না করে সরে আসে, তাহলে এটি তাদের ক্ষতি করতে পারে। তাই সময় থাকতে মানুষকে চাপের পরিস্থিতি মোকাবিলা ও সমাধানের উপায় খুঁজে বের করে বিপদ থেকে বের হতে হবে।
No comments:
Post a Comment