পরিপক্ক চুলের চিন্তা না করে কেন আপনার চুল অকালে ঝরে যাচ্ছে তা আগে থেকেই বোঝার চেষ্টা করুন। পুষ্টির অভাবে চুল দ্রুত পেকে যেতে পারে। যাইহোক, যদি আপনি ডায়েট পরিবর্তন করেন, তাহলে চুল কুঁচকে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি কিছুটা কমিয়ে আনা যায়। জেনে নিন কি করবেন
পুষ্টির অভাব
খাদ্যে একটু পরিবর্তন করলে চুলের স্বাস্থ্যের পরিবর্তন হবে। আয়রন এবং তামার সমৃদ্ধ কিছু খাবার খান। বিভিন্ন ধরণের বাদাম এবং বীজের জন্য উপযুক্ত। আপনি সেগুলি বাদাম, আখরোট, কুমড়ার বীজের মতো খাবারে পাবেন। এছাড়া ভিটামিন বি এবং সি যুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। যেমন দই, পনির, কলা, গাজর বা যেকোনো ধরনের সবজির রস। এই খাবারগুলি শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়। এটি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
বেশি প্রক্রিয়াজাত খাবার, জাঙ্ক ফুড, প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, সেই সাথে চুল পড়ার অন্যতম কারণ।
মানসিক চাপ, উদ্বেগ
মানসিক চাপ কমাতে আপনি যোগ বা ধ্যান করতে পারেন। শ্বাস -প্রশ্বাসের ব্যায়ামও মনকে শান্ত করে। ডায়েরি লেখা, বাগান করা, গান শোনা - আপনি যাই করুন না কেন, দিনের কোনো না কোনো সময়ে তা করার চেষ্টা করুন।যখন খুব বেশি চাপ থাকে তখন শরীরে নোরপাইনফ্রাইন নামক এক ধরনের রাসায়নিক উৎপন্ন হয়। এতে চুলের ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চুল দ্রুত পেকে যায়।
আপনি আপনার চুলের যত্ন নিতে কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্য নিতে পারেন। যেমন আমলকি এবং নারকেল তেলের নিয়মিত ম্যাসাজ, পেঁয়াজের রস প্রয়োগ, তেলে কারিপাতা মেশানো ইত্যাদি।
No comments:
Post a Comment