সকালে উঠে শিশু কি কোনও কাজ ঠিক ভাবে করতে পারছে না? পড়াশোনার ক্ষেত্রেও কি মনোযোগের অভাব দেখা দিচ্ছে? কোনও কাজ একবারের বেশি দু’বার করতে হলে বাচ্চা কি মেজাজ হারিয়ে ফেলছে? এই সমস্যার কারণ রাতে ঠিক মতো ঘুম না হওয়া। বাড়ি থেকে অনলাইন ক্লাস হওয়ায় বাচ্চারা মোবাইলও হাতে পেয়ে যাচ্ছে। ফলে রাতে বিছানায় শুয়ে মোবাইলে গেম খেলার বাজে অভ্যাস গড়ে উঠছে। বাড়ির পুষ্টিকর খাবার, যা শরীরের পক্ষে উপকারী, তার বদলে বাচ্চা বেশি বাইরের খাবার খেতে চাইছে। আপনিও দিশাহারা, কী খাওয়াবেন! এই সব কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঘুম। ঘুম যাতে ঠিক মতো হয়, তার জন্য প্রতি দিন বাচ্চাকে নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়ানো জরুরি।
১) ডিম খেতে বাচ্চারা ভালবাসে। ডিম সিদ্ধ হোক বা ডিমের ওমলেট বাচ্চাকে ভাত বা রুটির সঙ্গে খাওয়ান। ডিমে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নাম এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড, যা সেরোটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করে। এই সেরোটোনিনের ফলে ঘুম গাঢ় হয়। এ ছাড়া ডিমের মতো পুষ্টিকর প্রোটিন প্রতি দিন খাদ্যতালিকায় রাখলে বাচ্চার শারীরিক বিকাশ হবে।
২) বাচ্চাদের শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি দেয় দুধ। দুধ এমনি খেতে ভাল না বাসলে কোনও হেল্থ ড্রিংকের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। ঘুমোনোর আগে গরম দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। বয়স কম হোক বা বেশি সকলেই ভাল ঘুমের জন্য রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধ খেতে পারেন। দুধেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রিপটোফ্যান থাকায়, তা সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরিতে সহায়তা করে। এর ফলে ঘুম গভীর হয়।
৩) বাচ্চারা এমনিতেই মিষ্টি জিনিস খেতে পছন্দ করে। তাই ওদের খেজুর খাওয়াতে পারেন। খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি-৬, এগুলি ভাল ঘুমের পক্ষে সহায়ক। প্রতি দিন ৪-৫টি করে খেজুর বাচ্চাকে খাওয়ান, ঘুম ভাল হবে।
৪) সকালে প্রাতরাশের টেবিলে খাবারের সঙ্গে ফল রাখুন। সবচেয়ে ভাল হয় কলা রাখলে। কারণ কলাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান, যা নিয়মিত বাচ্চার খাওয়া খুবই জরুরি। ট্রিপটোফ্যানের পাশাপাশি এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম। ফলে কলা খেলে ঘুম গাঢ় হয়।
৫) বাচ্চাকে ছোলা খাওয়ান। ছোলাতে রয়েছে ভিটামিন বি ৬ ও ট্রিপটোফ্যান, ফলে এটি সেরোটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করে। মুড়ির সঙ্গে ছোলা খাওয়ান। কিংবা ছোলাসেদ্ধও একটু পেঁয়াজ দিয়ে মেখে দিলে মুখরোচক খেতে হবে।
No comments:
Post a Comment