নিউজ ডেস্ক : এই মহামারীকালে স্কুল -কলেজ বন্ধ থাকার কারণে অনেক শিশু ঘরে বসে মোটা হয়ে যাচ্ছে। ঘরে বসে সুস্বাদু খাবার খাওয়ার পাশাপাশি খেলাধুলার অভাবে শিশুদের অতিরিক্ত ওজন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে বেশি ভাগ অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন।
তবে করোনার পরিস্থিতিতে শুধু আপনার সন্তানই নয় অনেক শিশু মোটা হয়ে গেছে। অতএব, শিশুর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তার খাদ্যাভ্যাসের প্রতি মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি। এরসঙ্গে শারীরিক ব্যায়ামও প্রয়োজন। কী করতে হবে এবং উপায়গুলি সহজ করার জন্য কৌশলগুলি জেনে নিন।
শিশুকে সুস্থ রাখতে তার পর্যাপ্ত ফল ও সবজি খাওয়ানো প্রয়োজন। সবজির ক্ষেত্রে, আপনি এটি ফুটিয়ে নিতে পারেন এবং সামান্য লঙ্কা এবং লেবু দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন। শিশুর যে ফল খেতে ভালো লাগে তাকে তা খাওয়ান। মনে রাখবেন ফলের রস করে দিলে ভুলেও তাতে চিনি ও জল মেশাবেন না।
শিশুর ওজন কমাতে ফাস্টফুড খাওয়া বন্ধ করান। শিশুকে সুস্থ রাখতে, তার প্রতি কড়া হওয়া প্রয়োজন।
শিশুকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। অনেক সময় শিশুরা স্বাস্থ্যকর খাবার দেখে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এই কারণে, তাদের খাবার সুস্বাদু করুন। যদি শিশুকে প্রতিদিন একই খাবার দেওয়া হয়, তাহলে সেই খাবারের প্রতি শিশুর ঘৃণা হবে। খাবারের প্রতি শিশুর ইন্টারেস্ট বাড়াতে সুন্দর করে পরিবেশন করুন।
পিতামাতার উচিৎ প্রতি ঘণ্টায় শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল দেওয়া। পর্যাপ্ত জল পান করলে শিশুর ওজন কমবে এবং শরীরে অক্সিজেনের অভাবও পূরণ হবে।
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ব্যায়ামের কোনও বিকল্প নেই। ব্যায়াম করার সময় শিশুকে সঙ্গে রাখুন। প্রয়োজনে সে দড়ি লাফাতে পারে, সিঁড়ি দিয়ে উপরে ও নিচে যেতে পারে ইত্যাদি। আপনি সন্তানের সঙ্গে সকালে এবং বিকালে হাঁটতে পারেন।
কম ঘুমের কারণেও শিশুর ওজন বেড়ে যায়। দিনে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। কম ঘুমের কারণে শিশুর মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। একই সময়ে, অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। যদি এটি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে, তাহলে শিশু শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
শিশুর বসার সময় কমিয়ে দিন। নিশ্চিত করুন যে শিশুটি প্রতিদিন ২ ঘন্টার বেশি বসবে না। এই নিয়মগুলো মেনে চললে শিশুর ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।
No comments:
Post a Comment