নিউজ ডেস্ক : বর্তমান সময় সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনে গভীরভাবে জড়িত হয়ে উঠেছে। তাই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি এখন ভাল-খারাপ, সুখ এবং দুঃখ, আবেগ এবং উত্তেজনা ভাগ করার মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আসলে, যান্ত্রিক জীবনে, সোশ্যাল মিডিয়া খোলা হাওয়ার মতো কাজ করে।
কিন্তু সত্যিই কি এমন? কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক বিপদ রয়েছে এই কারণে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে আপনার ব্যক্তিগত সমস্যা সম্পর্কে কিছু শেয়ার করার আগে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
আজকাল অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সন্তানের বিকাশের রঙিন মুহূর্ত শেয়ার করেন। এটি একটি সমস্যা নাও হতে পারে, কিন্তু এটি শিশুকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।আসলে, সোশ্যাল মিডিয়া প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নিরাপদ নয়, এমনকি শিশুরাও এ থেকে নিরাপদ নয় তাই সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিশেষ করে শিশুদের সম্পর্কে কিছু শেয়ার করার আগে সতর্ক থাকুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শিশু সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করা ঠিক নয়।
বাচ্চা সম্পর্কে কোন পোস্ট:
আমরা সবাই জানি সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ছবি শেয়ার করা মানে বিপদকে আমন্ত্রণ জানানো। কারণ অনেক মানুষ ছবি চুরি করে এবং এর অপব্যবহার করতে পারে।সন্তানদের ক্ষেত্রেও একই কথা। আসলে, বাবা -মা তাদের সন্তানদের সম্পর্কে খুব স্পর্শকাতর তথ্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে। কিন্তু সেই সব তথ্য চুরি হতে পারে।
শিশুর অবস্থান:
কোন শিশু কোথায় যায়, কোন রাস্তায় চলাফেরা করে, বা কোন স্কুলে যায় - এই সব তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা উচিৎ নয়। এমনকি আপনার ঠিকানা শেয়ার না করাই ভাল। এটি শিশুর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। আসলে, যদি এই সমস্ত তথ্য শেয়ার করা হয়, অপহরণকারীরা এর অপব্যবহার করতে পারে।
কাপড় ছাড়া শিশুর ছবি:
শিশুটি হয় প্যান্ট পরছে না, অথবা তার কাপড় পরিবর্তন করা হচ্ছে - এই ধরনের ছবি বা ভিডিও অনেক বাবা -মা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। এটি একেবারেই ভুল, যদি এই ছবিটি একজন অসৎ ব্যক্তির হাতে পড়ে, তাহলে আপনার সন্তানকে এর ফল ভোগ করতে হবে, তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কোনও বয়সের ব্যক্তির নগ্ন ছবি পোস্ট করা ঠিক নয়।
শিশুর ব্যক্তিগত তথ্য:
কোন পরিচয়পত্র , সন্তানের মেডিক্যাল রেকর্ড মোটেও শেয়ার করা উচিৎ নয় কারণ একবার এই তথ্য ইন্টারনেট হ্যাকারদের হাতে পড়লে এর অপব্যবহার হতে পারে এবং এটি শিশুর জন্য একটি বড় ঝুঁকি।
শিশুর কোনও সমস্যা এবং খারাপ অভ্যাস:
যদি কোনও শিশুর মানসিক বা শারীরিক সমস্যা থাকে, বা কোনও খারাপ অভ্যাস থাকে তবে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা উচিৎ নয়। এটি শিশুর দুর্বলতা দেখায়, তাই এমন কোনও জিনিস শেয়ার করবেন না যার মাধ্যমে শিশুকে লজ্জিত করা হয়।
No comments:
Post a Comment