নিউজ ডেস্ক: নির্জন রাস্তায় ভয়াল নিস্তব্ধতা। ভয়ে পাখিরাও তেমন আসেনা। অথচ গাছে গাছে ভরা গোটা এলাকা। দিনের আলোতেও গা ছমছমে পরিবেশ। দূরে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা দেখা যায় এই গ্রাম থেকে। গ্রামটিতে কোনও মানুষের বসবাস নেই। যদিও কিছু বাড়ি ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে। বাড়ি গুলোর বয়স কত তা বলা মুশকিল। দেশে এতটা নির্জন গ্রাম আর কোথাও নেই।
গ্রামের ধানুশকটি । তামিলনাড়ুর এই গ্রাম থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে শ্রীলঙ্কা। তামিলনাড়ুর
রামেশ্বরম জেলাযর এই গ্রামে দিনের আলোয় পর্যটকদের যাতায়াতে কোনও বিধি না থাকলেও রাতে অন্ধকারে যেতে নিষেধ। ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে এটিই একমাত্র স্থলসীমানা যা পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্থানগুলির মধ্যে একটি মাত্র বালুচর ।
ভীতিকর হওয়া সত্ত্বেও এই জায়গাটি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। সরকার জায়গাটি ভূতুড়ে স্থানগুলির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে । এজন্যই পর্যটকরা দিনের আলোতে বেড়াতে যান এবং সন্ধ্যার মধ্যে রামেশ্বরমে ফিরে আসেন, কারণ পুরো পথটি নির্জন-ভয়াবহ এবং রহস্যে পরিপূর্ণ।
পৌরাণিক বিশ্বাস :
হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, রাবণের ভাই বিভীষণের অনুরোধে শ্রী রাম চন্দ্র তাঁর ধনুকের এক প্রান্ত দিয়ে সেতুটি ভেঙেছিলেন এবং সেই থেকে নামকরণ করা হয়েছিল ধনুশকটি।
রাম চন্দ্র ধনুকের এক প্রান্ত দিয়ে এই জায়গাটি ব্রিজের জন্য চিহ্নিত করেছিলেন। একটি লাইনে পাওয়া শৃঙ্খলা এবং দ্বীপগুলির একটি সিরিজ একটি প্রাচীন সেতুর ধ্বংসাবশেষ হিসাবে প্রদর্শিত হয়, যা রাম সেতু নামেও পরিচিত।
No comments:
Post a Comment