সরকরি নির্দেশে মে মাসের ১৬ তারিখ থেকে বন্ধ সমস্ত শ্যুটিং। তা সত্ত্বেও টিভি সিরিয়ালগুলির নতুন নতুন এপিসোড দেখা যাচ্ছে কীভাবে? কি ভাবে আগে সিরিয়ালগুলির দু’ একমাসের এপিসোড ব্যাঙ্কিং করা থাকত। অর্থাৎ দু’ একমাসের সমস্ত এপিসোড আগাম শ্যুট করা থাকত। তাতে দু’ একমাস শ্যুটিং বন্ধ থাকলেও সমস্যা হতো না। কিন্তু সে প্রথা উঠে গিয়েছে বহুদিন। ইদানীং এমনও হয় যে, যেদিন টেলিকাস্ট হবে সেদিনই হয়তো এপিসোড শ্যুট হচ্ছে।
তাহলে এই কার্যত লকডাউনে সিরিয়ালগুলির নতুন নতুন এপিসোড দেখানো হচ্ছে কীভাবে? একটি চ্যানেল তো সগর্বে ঘোষণা করছে, তাদের চ্যানেলে সিরিয়ালের নতুন নতুন এপিসোড দেখানো চলছে চলবে। রহস্যটা কোথায়? খুব সহজ। শ্যুটিং সম্পর্কে যাঁদের ন্যূনতম ধারণা আছে এপিসোডগুলো একাগ্রভাবে দেখলেই তাঁরা বুঝতে পারবেন যে সব শিল্পী একই জায়গায় নেই। প্রত্যেকে আলাদা আলাদা জায়গায় রয়েছেন। প্রত্যেকের ব্যাকগ্রাউন্ড আলাদা। আলোর রং এবং ইনটেনসিটিও আলাদা। দুজন শিল্পীকে একসঙ্গে কখনওই দেখানো হচ্ছে না। বোঝাই যাচ্ছে যে, যে যার বাড়ি থেকে মোবাইলে শ্যুট করে পাঠিয়েছেন, তারপর সেগুলো এডিট করে জুড়ে তৈরি হয়েছে গোটা এপিসোডটি।
এতে সিরিয়ালের মান যেমন পড়ে যাচ্ছে তেমনি কর্মচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন টেকনিশিয়ানরা। এক প্রবীণ টেকনিশিয়ান বললেন, ভবিষ্যতে যদি এটাই ট্রেন্ড হয়ে যায় তবে আমাদের তো পেটে টান পড়বে। কৃষ্ণকলির প্রযোজক তো স্বীকার করেই নিয়েছেন যে তাঁর সিরিয়াল বাড়ি থেকে শ্যুট করেই চলছে।
No comments:
Post a Comment