দেনার মধ্যে পড়ে চরম হতাশায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ফল বিক্রেতা। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। আর স্বামীর মৃত্যসংবাদ জানতে পেরে লরির সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন স্ত্রী। যদিও শেষপর্যন্ত প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন মৃত ব্যাক্তির স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলকোট থানা এলাকায়। পুলিশ জানায় মৃত ব্যক্তির নাম উৎপল দাস(৩৫)। মঙ্গলকোটের ইছাবটগ্রামে তার বাড়ি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ইছাবট গ্রামের বাসিন্দা উৎপলবাবুর নতুনহাট বাজারের নামুহাট এলাকায় সাইকেল ভ্যানে কলা, আম ইত্যাদি ফল বিক্রি করতেন। ওই এলাকাতেই একটি ছোট ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন মালপত্র রাখার জন্য। রোজ সকালে নতুনহাটে এসে ব্যবসার কাজ সেরে বাড়ি ফিরতেন। স্ত্রী পুতুলদেবী সাংবাদিকদের জানান গতবছর লকডাউনের সময় থেকে তার স্বামীর ব্যবসা মন্দা চলছিল। বেচাকেনা বন্ধ থাকায় পুঁজি ভেঙে সংসার চলে।
এবছরে পুতুলদেবীর যেটুকু গহনা ছিল তা বন্ধক রেখে ব্যবসা শুরু করেন।তারপর ফের করোনার কারনে কড়া বিধিনিষেধ জারি হতেই ক্ষতির মুখে পড়েন উৎপল। প্রতিবেশীর জানান বন্ধক রাখা গহনা ছাড়ানো নিয়ে স্বামী স্ত্রী অশান্তিও হয়। এদিন মঙ্গলবার সকালে নতুনহাটে আসার পর দোকানঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন উৎপল।
স্থানীয়দের নজরে পড়লে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে মৃতের স্ত্রী পুতুলদেবী নতুনহাটে আসেন। শোকে মূহ্যমান হয়ে তিনিও একটি চলন্ত লরির সামনে ঝাঁপ দেন। তবে লরির গতি আস্তে থাকায় চালক জোরে ব্রেক কষেন। প্রাণরক্ষা হয় পুতুলদেবীর। তার হাতে জোরে আঘাত লাগলে স্থানীয়রা তাকে মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
No comments:
Post a Comment