ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সুন্দরবন সন্নিহিত এলাকা পরিদর্শনে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে ঘুর্ণিঝড় ইয়াস অন্যদিকে ভরা কোটালের জেরে জেলার সুন্দরবন সন্নিহিত এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এদিন সকালে আকাশপথে পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরপর তিনি হিঙ্গলগঞ্জ কলেজে জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে ক্কখতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের জন্য সমস্ত রকমের সাহায্য ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। এদিন এই প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, ত্রাণ নিয়ে কোনওরকম বঞ্চনা বরদাস্ত করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জেলার অধিকারিকদের কাছে কতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার তথ্য চেয়ে পাঠান।
মমতা এদিন বৈঠকে বলেন, দুর্গত মানুষদের মধ্যে খাবার, ত্রিপল ও বেবী ফুড বিতরণে যেন কোনওরকম কার্পণ্য না হয়। প্রতিটি ত্রাণ শিবিরে যেন বেবী ফুড পৌছে যায়। এই অঞ্চল জুড়ে ৫৫ টি বাঁধ ভেঙ্গেছে, রাস্তাও ভেঙেছে। ১ হাজার ৩৫৪ টি রিলিফ ক্যাম্প করা হয়েছে। ঝড়ের আগে ২ লক্ষ ৭১ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিলো। এরজন্য লাইন ডিপার্টমেন্ট, বিডিও, এস ডিও ও ফিল্ড ওয়ার্কারদের ধন্যবাদ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ত্রাণ যাতে ঠিকমতো পৌছায় তা দেখতে হবে। গতকাল সন্দেশখালি থেকে অভিযোগ পেয়েছি। ত্রাণ ঠিকমতো পৌছায়নি। ব্রিজ, কালভার্ট, ইলেকট্রিক পোষ্ট ও স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৬০০ কিলোমিটারের বেশী রাস্তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ৪০ হাজার একর কৃষিজমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। টোটাল এলাকা এখনও জলমগ্ন রয়েছে দেখলাম। ত্রাণ শিবিরে যারা রয়েছেন তাদের যেন অসুবিধা না হয়।
এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বসিরহাটের সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুরজাহান, রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ জেলার জেলা শাসক, পুলিশ সুপার ও জেলার উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
No comments:
Post a Comment