পুলিশ এক নাবালক খুনের অভিযোগে তদন্তে নেমে গ্রেফতার করল মূল আসামীকে।ধৃতের নাম রফিকুল ইসলাম সরদার।ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার নেবুখালি এলাকায়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে নেবুখালি এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল মোল্লা।গত ৩ মে সিরাজুল মোল্লার নাবালক পুত্র দশ বছরের সাবির হোসেন মোল্লার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে।সেই সময় মৃত নাবালকের হাত পা বাঁধা ছিল এবং গলায় ফাঁস ছিল।এ বিষয়ে মৃত নাবালকের বাবা সিরাজুল মোল্লা বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
পুলিশ অভিযোগ পেয়ে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।আর পুলিশ তদন্তে নেমে খুনের কিনারা খুঁজে বের করে গ্রেফতার করে মূল আসামী রফিকুল ইসলাম সরদার কে।রবিবার ধৃতকে পুলিশ আলিপুর কোর্টে তুললে বিচারক ধৃতকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।পাশাপাশি ধৃত এক নাবালক কে পুলিশ আইনি নিয়ম কানুন মেনে জেজেবি তে হাজির করে।বর্তমানে তাকে সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে।এ দিকে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আসামি রফিকুল ইসলাম সরদারের সাথে মৃত নাবালকের সৎ দিদির ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক তৈরি হয়।কোনও এক সময় ওদের ঘনিষ্ট অবস্থায় মৃত শিশুটি দেখে ফেলে।ইতিমধ্যে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে।লোকজন জানা জানি হলে এ বিষয়ে গ্রাম্য সালিশ বসে।কিন্তু গ্রাম্য সালিশি তে রফিকুল ইসলাম সরদার অস্বীকার করে তখন উক্ত নাবালক সাক্ষী দেয়।ফলে আসামী মেনে নিতে বাধ্য হয় যে তার দ্বারা মেয়েটি গর্ভবতী হয়েছে এবং মেয়েটিকে বিয়ে করতে হয়।
ফলে নাবালকের উপর রাগ গড়ে উঠে এবং পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চাই।তখন সহকারী হিসাবে নাবালকটিকে বেছে নেয়।নাবালক টিকে বুঝিয়ে সাথে নিয়ে পার্শ্ববর্তী এক বাঁশ বাগানে নাবালক সাবির হোসেন মোল্লাকে খুন করে পাশের পরিত্যক্ত বাড়িতে ফেলে চম্পট দেয়।পুলিশ জানান এক নাবালকের খুনের অভিযোগে মূল আসামী কে গ্রেফতার করা হয়েছে।এমনকি আসামীর সঙ্গে থাকা এক নাবালকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।আইনী নিয়ম কানুন মেনেই জেজেবি তে হাজির করা হয়।সে এখন সেফ হোমে।তবে এই খুনের ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment