আর কয়েক মুহূর্ত। তারপরই আগুনে জ্বলে উঠবে তাঁর নশ্বর দেহটা। ঠিক সেই সময়ই সকলকে চমকে দিয়ে গোঙ্গানি দিয়ে উঠলেন ‘সদ্যমৃত’ বৃদ্ধা! পাণ্ডবেশ্বরের নামো পাড়া এলাকার পুষ্পা আচার্য্য (৭০) বহু দিন ধরে কোমর ভেঙ্গে শয্যাশায়ী হয়ে ছিলেন। এমনকি কথাবার্তাও বলতে পারতেন না তিনি, সেবা শ্রুশসার কোনোরকম ত্রুটি করেননি পরিবারের লোক। কিন্তু এত কিছুর পরও বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে হটাৎই শারীরিক অবস্হার অবনতি হতে থাকে পুষ্পা দেবীর।
বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ বেশ কয়েক বার হেঁচকি ওঠার পর নিস্তেজ হয়ে পড়ে বছর সত্তরের পুষ্পা দেবীর গোটা শরীর। করোনা আবহে বেশ কয়েকজন ডাক্তারকে ডাকার পরও তারা না আসায়,পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি শুরু করে পুষ্পা দেবীকে, কিন্তু তখনও কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় পরিবারের লোকজন ভেবে নেয় আর নেই পুষ্পা আচার্য্য।
শুরু হয় কান্নাকাটি, বাকি সদস্যদের ফোনাফুনির পর্ব সেড়ে মৃতদেহ সৎকারের জোগাড় জানতি শুরু হয়, সাড়ে আটটা নাগাদ সনাতন রীতি নীতি মেনে এই পৌঢ়াকে নিয়ে যাওয়া হয় পাণ্ডবেশ্বররের একটি শ্মশানে। এরপর পুষ্পা দেবীর দেহকে পারলোকিক ক্রিয়া কর্ম করে শুদ্ধ করে চিতায় চাপাতে গিয়ে হটাৎ গোঙানির এক আওয়াজে পায়। এই গোঙানির আওয়াজে প্রথমটা ভয় পেয়ে গেলেও পড়ে সাহস নিয়ে এই পৌঢ়াৰ দেহ ছুঁতেই মেলে প্রাণের সন্ধান। সাথে সাথে চিতা থেকে নামিয়ে বছর সত্তরের এই বৃদ্ধাকে নিয়ে আসা হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে,ভর্তি করা হয় সেখানে।
No comments:
Post a Comment