মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যে ইতিমধ্যে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে বড় ধাক্কা খাওয়ার পর তাঁর পুরানো কেন্দ্র থেকেই লড়াই করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী কে? শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে এই চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি অভিনেতা তথা রুদ্রনীল ঘোষ। প্রথম লড়াইয়ে হেরেও দ্বিতীয় লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার জন্য তৈরি রুদ্রনীল ঘোষ।
একে উপনির্বাচন, তা-ও আবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তবুও পিছু হঠতে চান না ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো ওই অভিনেতা। রুদ্রনীল বলছেন, ‘‘আমি দলের সৈনিক। দল বললে অবশ্যই লড়ব। এ ব্যাপারে আমার কোনও মতামত নেই। আমি নির্দেশ মানতে তৈরি আছি।'' অভিনেতা দাবি করেন, তিনি এখনও ভবানীপুরের মানুষের সঙ্গেই আছেন।
একুশের নির্বাচনে ভবানীপুরে শোভনদেবের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় রুদ্রনীলের। তৃণমূলের শোভনদেব পান ৭৩ হাজার ৫০৫ ভোট। সেখানে রুদ্রনীল পান ৪৪ হাজার ৭৮৬ ভোট। ব্যাবধান ছিল ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটের। তবে হেরে গেলেও তিনি ভবানীপুরের মানুষের সঙ্গেই আছেন বলে দাবি করেন রুদ্রনীল।
এদিকে, দল এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করবে কি না তা এখনও ঠিক হয়নি। রুদ্রনীলও বলছেন, ‘‘আমি জানি না, দল আমায় প্রার্থী করবে কি না। যদি দল বলে অন্য কোনও প্রার্থীর হয়ে আমাকে পরামর্শদাতার কাজ করতে হবে, তাতেও আমি রাজি। তবে আমি ভবানীপুরের মানুষের সঙ্গে ভোটের আগে যেমন ছিলাম তেমন আছি।
অন্যদিকে, মীনাক্ষীকে ভবানীপুরে প্রার্থী চায় সিপিএম। সিপিএমের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভবানীপুর কেন্দ্রে মীনাক্ষীকে প্রার্থী করার। এবার জোট নয় এককভাবে প্রার্থী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, একুশের ভোটে নন্দীগ্রাম হাইভোল্টেজ কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল মমতা বনাম শুভেন্দুর নির্বাচনী লড়াইকে ঘিরে। সেখানে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হয়েছিলেন সিপিএমের মীনাক্ষী। মীনাক্ষী প্রচারের আলোয় এসেছিলেন নন্দীগ্রামের সৌজন্যে।
No comments:
Post a Comment