বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ধানের বস্তার নিচে চাপা পড়ে একই সঙ্গে মৃত্যু হলো ঠাকুরমা এবং দুই নাতির। ঘটনাটি চাচোল থানার ললিয়াবাড়ি এলাকার। এই দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ধানের বস্তার নিচে চাপা পড়ে থাকা আহত ঠাকুরমা ও দুই নাবালক নাতিকে উদ্ধার করে ঝড় বৃষ্টির মধ্যেই রাতে নিকটবর্তী গ্রামীণ হাসপাতলে নিয়ে যায় । কিন্তু সেখানেই চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে জানিয়ে দেয়।
শুক্রবার সকালে সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে চাচল থানার পুলিশ। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ঠাকুরমার নাম তানু সোরেন (৫০) এবং দুই নাতি রোহিত টুডু (৭) ও রাহুল টুডু (৫)৷
ওইদিন রাতে এক ঘরে দুই নাতিকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন তানুদেবী৷ তাঁদের পাশেই বাঁশের মাচায় রাখা ছিল এক থেকে দুই কুইন্টালের বড় বড় ধানের বস্তা৷ গভীর রাতে হঠাৎ করে বৃষ্টিতে বাঁশের মাচা বসে গিয়ে ধানের বস্তাগুলি ঘুমন্ত ওই তিনজনের উপর পড়ে যায়৷ এরপর ওই তিনজনের গোঙ্গানির আওয়াজ পেয়ে পরিবারের কর্তা দশরথ টুডু বস্তাগুলি সরানোর চেষ্টা করেন৷ কিন্তু অত ভারী বস্তা তিনি একা সরাতে পারেন নি। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরাও৷ সবাই মিলে ধানের বস্তা সরিয়ে তাদের নিকটবর্তী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শুক্রবার মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মালতিপুরের তৃণমূল বিধায়ক রহিম বক্সী। ওই পরিবারটিকে সরকারি ভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
No comments:
Post a Comment