হাওড়ার জগাছায় বকুলতলা লেন এলাকায় মঙ্গলবার সাতসকালে গুলি চালানোর অভিযোগ এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় অল্পের জন্য রক্ষা। খোয়া গিয়েছে সোনার চেন। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযোগকারী জয়ন্ত কুমার বন্দোপাধ্যায় বলেন, ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দু'জন এসে তাঁর বাবাকে ডাকে। বাবা শম্ভুনাথ বাইরে এলে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে টাকা দাবি করে। তখন বাবা ক্লাবকে বিষয়টি জানাবেন বলে তাদের জানান। তখনই তারা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে। প্রায় ১ভরি সোনার হার ছিল বাবার গলায়।
সেটা ছিনিয়ে নেয়। আগ্নেয়াস্ত্র বের করতে দেখে তিনি চিৎকার করলে দুষ্কৃতিদের একজন বাবাকে ছেড়ে আমাকে মারতে বলে।তখন একজন হঠাৎই আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। কিন্তু সরে যাওয়ায় সেই গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর সেই রিভলবারে যখন আরেকটি গুলি ভরতে যাচ্ছিল তখনই আমি ওকে ঝাঁপিয়ে ফেলে দিই। ধাক্কায় রিভলবারটি পড়ে যায় মাটিতে। একজন এসে আমাকে লাথি মারে। এরপর তাদের মধ্যে একজন বন্দুকের বাঁট দিয়ে আমার মাথায় মেরে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তাদের মুখে মাস্ক থাকায় চিনতে পারা যায়নি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত বাড়ির মালিক শম্ভুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সকালবেলায় ছেলে এসে বলে কয়েকজন তাঁকে ডাকছে। এরপর নিচে তাদের কাছে এলে তারা কিছুটা দূরে সরিয়ে নিয়ে যায় এবং টাকা দাবি করে। এই শুনে তিনি ক্লাবের সঙ্গে কথা বলে টাকা দেবেন বলে জানান। এই শুনে রেগে যায় দুষ্কৃতিরা। তারা রিভলবার বের করে গলায় একটা সোনার হার ছিল সেটা ছিনিয়ে নেয়।
ছেলে এইসব দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। দুষ্কৃতিদের মধ্যে একজন ছেলেকে মারতে বলে। তখনই এক দুষ্কৃতী ছেলেকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কিন্তু ছেলে সরে যাওয়ায় গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর দ্বিতীয় কার্তুজ রিভলবারে ভরতে যাওয়ার সময় ছেলে ঠেলে ফেলে দেয় এক দুষ্কৃতীকে। এর আগে কখনো এমন হুমকির সম্মুখীন হতে হয়নি।
No comments:
Post a Comment