ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়লেও তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার সুন্দরবনের বিস্তীর্ন এলাকায়।মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের নদী গুলিতে ইয়াশের প্রভাবে জলের উচ্চতা অনেকটা বেড়ে যায়।ফলে পাথর প্রতিমা বাসস্ট্যান্ডে গোবোদিয়া নদী এবং জগৎদল নদীর জল ওভারফ্লো হয়ে বাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে ঢুকে যায়।
পাশাপাশি পাথরপ্রতিমা ব্লকের দিগম্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম শ্রীধরপুর সুইজ গেট এবং জি প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের বারোতলায় নদী বাঁধ ফাঁটল ধরলে এলাকার মানুষজন তড়িঘড়ি করে তারা বাঁধ বাধার কাজ শুরু করে দেয়।এছাড়া ক্যানিং-১ ও ২,বাসন্তী,গোসাবা সহ বিভিন্ন ব্লক গুলিতে নদীর জলের উচ্চতা অনেকটা বেড়ে ইয়াশের প্রভাবে।ইতিমধ্যে হালকা বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোসাবা ১৫৫ টি,বাসন্তী ১৭৩ টি,ক্যানিং-১ ৩৫ টি,ক্যানিং-২ এ ১৪০ টি সাইক্লোন সেন্টার করা হয়েছে।এই সমস্ত সাইক্লোন সেন্টারে ইতিমধ্যে ৮০ হাজার মানুষজন এনে রাখা হয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।তবে আমফানের অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে ইয়াশের মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন।সুন্দরবনের নদী বাঁধ গুলি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা হচ্ছে।এমনকি বির্পযয় মোকাবিলা দল সব ব্লক গুলিতে রয়েছে।গর্ভবতী মায়েদের এনে রাখা হয়েছে গ্রামীণ হাসপাতাল গুলিতে এবং যে সমস্ত কোভিড রোগী বাড়ি থেকে চিকিৎসা হচ্ছিল তাদের কোভিড হাসপাতালে এনে রাখা হয়েছে।
এছাড়া স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য জল পথে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রামবাসীদের আশঙ্কা একবার যদি সমুদ্রের নোনা জল বাঁধ টপকে গ্রামে ঢুকে পড়ে তাহলে ঘরবাড়ি জনসভার তাতো হবেই তার থেকেও চিন্তার বিষয় হলো প্রচুর কৃষি জমি নষ্ট হবে। যদিও প্রশাসনের আশ্বাসে পর্যাপ্ত সমস্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে যে কোন রকম পরিস্থিতির জন্য তারা তৈরি আছেন।
No comments:
Post a Comment