ইয়াস মোকাবিলায় মানুষের পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী বিধায়করা। মঙ্গলবার রাত থেকে কখনো প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক আবার কখনো এলাকায় গিয়ে মানুষকে ত্রাণ শিবিরে তুলে নিয়ে আসা সবটাই নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে করালেন মমতার সৈনিকরা। ইয়াসের পাশাপাশি পূর্ণিমার ভরা কোটালে বুধবার হাওড়া গ্রামীণ এলাকার উলুবেড়িয়া,বাগনান,শ্যামপুর আমতার বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কোথাও নদী বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকে যাওয়া আবার কোথাও বাঁধ উপচে জল ঢুকে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে ৫ টি ব্লকের কয়েক লক্ষ মানুষ।
বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও কোটালের জল একাধিক এলাকায় ঢুকলেও বিকালে জল অনেকটা নেমে যাওয়ায় পরিস্থিতি সেভাবে উন্নতি না হলেও অবনতি হয়নি। কোটালের জল একটু নামতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন সকল মন্ত্রী বিধায়করা। এদিন সকালে কালীনগর হীরাপুর অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী পুলক রায়।
এদিন তিনি মানুষের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। অন্যদিকে এদিন বাগনানের ওড়ফুলি বেনাপুর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ পরিদর্শন করে বাঁধ মেরামতের কাজ খতিয়ে দেখেন বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন। অপরদিকে আমতার ভাটোরা, কল্যানপুর,পানিত্রাস, গোবিন্দপুর সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল, শ্যামপুরের অনন্তপুর গাদিয়াড়া সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন শ্যামপুরের বিধায়ক কালীপদ মন্ডল, উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন বিধায়ক বিদেশ বসু।
কোটালের জলে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়ার পরেই কোমর বেঁধে ঝাঁপিয়ে নেমে পড়েন এসব নেতা মন্ত্রীরা। দূর্গত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপশি ত্রান শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ সবটাই তদারকি করেন সকলে।
No comments:
Post a Comment