শিলিগুড়িতে দ্রুত বিকল্প শশ্মান তৈরীতে উদ্যোগ নয়া পুর প্রশাসক বোর্ডের। প্রাথমিকভাবে কোভিড দেহ সৎকার্যের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হবে এই শশ্মানঘাটটি বলেই জানা যাচ্ছে। শিলিগুড়ি ১০লক্ষ জনবসতির জন্য দীর্ঘ সময় ধরে বিকল্প একটি শশ্মানের দাবি ছিল নাগরিকদের।তবে বাম বোর্ডের সময়তে সে প্রয়োজনীয়তা শুধুই দাবির খাতায় লিপিবদ্ধ থেকে গিয়েছে। তবে গত ৭ই মে শিলিগুড়ি পুরপ্রশাসক হিসেবে গৌতম দেব দায়ভার গ্রহণের পরই নয়া বোর্ডকে নিয়ে নাগরিক পরিষেবার বিষয়টিকে মোক্ষম গুরুত্ব দিয়ে শহরবাসীর দাবিদাওয়া গুলিকে নাড়াচাড়া করে বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছেন।
শিলিগুড়িতে পুরনিগমের আওতায় ব্যবহৃত একটি মাত্র কিরণচন্দ্র শশ্মানঘাট রয়েছে। রাজ্যের তরফে গৌতম দেবের হাত ধরেই ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি এলাকায় সাহুডাঙি বিকল্প একটি শশ্মানঘাট নির্মিত হলেও বর্তমানে তা সম্পূর্ণরূপে কোভিড দেহ সৎকার্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিছু ব্যক্তিগোষ্টির দ্বারা পরিচালিত রামঘাট শশ্মান শহরে রয়েছে তবে তার পরিকাঠামো ও পরিসর খুবই সীমিত। যার জেরে নাগরিকদের তরফে দীর্ঘ সময় ধরে বিকল্প একটি শশ্মান ঘাটের দাবি উঠে আসে। তারওপর করোনা পরিস্থিতিতে মেডিকেলে আসা দূর-দুরান্তের রুগীদের সৎকার্য্যের বাড়তি চাপ এসে পড়ছে।
তাই সোমবার তড়িঘড়ি পুর আধিকারীক ও বাস্তুকারদের নিয়ে শিলিগুড়ি সরোজিনীপল্লী ৪২নাম্বার ওয়ার্ডে মহানন্দা নদীরচরে বিকল্প শ্মশান তৈরির পরিকল্পনাকে কার্যকর করতে পর্যবেক্ষন করেন পুরপ্রশাসক। প্রায় দেড় একর জমির ওপর বিকল্প শশ্মানঘাটের নির্মাণের জন্য এলাকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন পুর প্রশাসক গৌতম দেব ও প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রঞ্জন সরকার ও অলক চক্রবর্তী। এলাকাবাসীর ওই এলাকায় সৎকার্য করে থাকেন প্রাচীন চুল্লির পদ্ধতিতে। রাজ্যের সহায়তার ওই এলাকায় সৌন্দর্য্যয়ন, বসার জায়গা ও মন্দির গড়ে পুরনিগমের তরফে বৈদ্যুতিক চুল্লি স্থাপনের পরিকল্পনার কথা এদিন জানান পুর প্রশাসক গৌতম দেব।
স্থানীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর সঙ্গে মৌ চুক্তির মাধ্যমে জমিটি গ্রহণ করে পরিকাঠামোর উন্নয়নের কাজে নামবে পুরনিগম। পুর প্রশাসক গৌতম দেব জানান শিলিগুড়িতে বিকল্প একটি শশ্মানঘাটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিরনচন্দ্র শশ্মান ঘাট ছাড়া অপর রামঘাটে প্রাচীন কাঠের চুল্লিতে দাহকার্য হয়। সেখানে বৈদ্যুতিক চুল্লি নেই। কিরনচন্দ্র শশ্মানে কিছু সমাজবিরোধী দেহের সৎকার্যের সময় হুল্লোড়বাজি ও অসামাজিক কাজ করে তার বিরুদ্ধে কড়া পুলিশ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান পুরপ্রশাসক। তিনি বলেন আমরা যাবো।
পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছি, প্রয়োজনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে শশ্মানঘাটে। পাশাপাশি মেডিকেলে প্রচুর লোক আসেন বাইরে থেকে তারা অনেকে এখানেই শেষকৃত্য করেন তারওপর অতিমারীর সময়তে শিলিগুড়িতে বিকল্প শশ্মানের প্রয়োজন।সেক্ষেত্রে পুরসভাকে দিয়ে প্রকাশনগরের এই জায়গাটি নেওয়া হচ্ছে।স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মৌচুক্তি হবে তারাই পরিচালনা করবে, তত্ত্বাবধানে থাকবে শিলিগুড়ি পুরনিগম।
No comments:
Post a Comment