দি নিউজ লায়ন; আজ সকালে ইয়াশে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন সন্নিহিত এলাকাগুলি আকাশপথে পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর তিনি হিঙ্গলগঞ্জ কলেজে জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষদের জন্য সমস্ত রকমের সাহায্য ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। এদিন এই প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে কড়া নির্দেশ দিয়ে মমতা বলেন,
১। ত্রাণ নিয়ে কোনওরকম বঞ্চনা বরদাস্ত করা হবে না। সবাই যাতে ঠিকমত ত্রাণ পায় সেদিকে নজর দিতে হবে। দুর্গত মানুষদের মধ্যে খাবার, ত্রিপল ও বেবী ফুড বিতরণে যেন কোনওরকম কার্পণ্য না হয়। প্রতিটি ত্রাণ শিবিরে যেন বেবী ফুড পৌছে যায়।
২। ৫৫ টি বাঁধ ভেঙ্গেছে, রাস্তাও ভেঙেছে। ১ হাজার ৩৫৪ টি রিলিফ ক্যাম্প করা হয়েছে। ঝড়ের আগে ২ লক্ষ ৭১ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিলো। এরজন্য লাইন ডিপার্টমেন্ট, বিডিও, এস ডিও ও ফিল্ড ওয়ার্কারদের ধন্যবাদ।
৩। ১৬০০ কিলোমিটারের বেশী রাস্তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ৪০ হাজার একর কৃষিজমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। টোটাল এলাকা এখনও জলমগ্ন রয়েছে দেখলাম। ত্রাণ শিবিরে যারা রয়েছেন তাদের যেন অসুবিধা না হয়।
৪। যাদের ঘর বাড়ি, কৃষি জমি, মাছ নষ্ট হয়েছে তাঁরা দুয়ারে ত্রাণ গ্রামে গ্রামে এবং ব্লকে ব্লকে চলবে৷ ৩ থেকে ১৮ জুনের মধ্যে মানুষ এখানে এসে অভিযোগ জমা করবে৷ এই শিবির পুরোপুির সরকারি অফিসাররা চালাবেন৷ ১ থেকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে ত্রাণ বা ক্ষতিপূরণের টাকা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।
৫। রিলিফ ক্যাম্পগুলিতে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন টিম পাঠাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আমি দেখতে চাই না কোথাও ত্রাণ, খাবার, ত্রিপল বিলি নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ উঠছে৷ যার যেটুকু প্রয়োজন দিতে হবে৷
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জেলার অধিকারিকদের কাছে কতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার তথ্য চেয়ে পাঠান। এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান, রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ জেলার জেলা শাসক, পুলিশ সুপার ও জেলার উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
No comments:
Post a Comment